বাঁধের জলে ২০২১ টা ডুব দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন যুবক : দেখার জন‍্য ভীড় মানুষের

1st January 2021 2:37 pm বাঁকুড়া
বাঁধের জলে ২০২১ টা ডুব দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন যুবক : দেখার জন‍্য ভীড় মানুষের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  এ এক অন্য বর্ষবরণ  ।কনকনে হাড় হিম করা ঠান্ডায় ২০২১ খানা ডুব লাগিয়ে নতুন বছর কে স্বাগত জানালেন বিষ্ণুপুরের এক যুবক ।

সময়ের দাবি মেনে পুরোনোকে বিদায় জানাতেই হয়। আর স্বাভাবিক নিয়মে পুরানোকে বিদায় জানিয়ে নিজেদের মতো করে নতুনকে স্বাগত জানান সকলেই। ঠিক সেইভাবেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ দত্ত বিগত ছ'বছরের মতো এবারও সাত সকালে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে হাজির শহরের লালবাঁধে।

লালবাঁধের কনকনে ঠাণ্ডা জলে ২০২১ টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালো সে। অভিনব এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে লালবাঁধের পাড়ে হাজির ছিলেন অসংখ্য মানুষ। মুহূর্মুহু করতালির মধ্য দিয়ে সদানন্দ দত্তকে উৎসাহিত করলেন সকলে। 

লালবাঁধের জলে ডুব দিয়ে উপরে ওঠে সদানন্দ দত্ত বলেন, ২০২১ টি ডুব দিয়ে নিজের মতো করে নতুন বছরকে স্বাগত জানালাম। পাশাপাশি এই মুহূর্তে তাঁর অন্যতম লক্ষ্য গিনেজ বুকে নাম তোলা। কিন্তু কোথায় কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে কিছুই জানা নেই। এই কাজে প্রশাসনিক সাহায্যও মেলেনি দাবি করে তিনি তার এই লক্ষ্যেই এখন এগিয়ে যেতে চান বলে জানান।

নতুন বছরে মন্দির নগরীতে বেড়াতে এসে অভিনব এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে খুশি পর্যটকেরাও। ডানকুনি থেকে আসা পিয়াসা দে সরকার বলেন, দীর্ঘ অতিমারীর সময়কালে অনেক দিন পর বাইরে বেরিয়ে বিষ্ণুপুর বেড়াতে এসেছিলাম। আর বছরের প্রথম দিনে লালবাঁধের পাড়ে দাঁড়িয়ে অভিনব বর্ষবরণের সাক্ষী তিনি থাকলেন বলে জানান । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।